🌾 উচ্চ মানের বীজ উপলব্ধ আছে 🚜 যোগাযোগ: (M) 6296671650/8101585122
🌾 উচ্চ মানের বীজ উপলব্ধ আছে 🚜 যোগাযোগ: (M) 6296671650/8101585122
বীজ গ্রাম : কৃষির বৃদ্ধি ও উন্নতিসাধন, কৃষিকাজ সম্ভাবনায় শক্তিশালী প্রশিক্ষণ
গোঁটরা : SKUS এর অনুপ্রেরনা ও সাহচর্যে যেখানে বৃদ্ধির পরিব্যাপ্তি ঘটে
বীজ গ্রাম একটি সাম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ যার মূল লক্ষ্য কৃষিকাজকে এক যুগান্তকারী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজটি সম্ভব হয় শুধুমাত্র তাদের দীর্ঘমেয়াদী ফসল উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও উচ্চমানের বীজ বিতরণের মাধ্যমে। এই প্রগতিমূলক ধারণা এক গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদায় উন্নীত হয় যখন এটি এক ব্যবহারিক সমাধান হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। বীজের নিরাপত্তা, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং কৃষির কাজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয় তাঁর সমাধানের ব্যবহারিক পদক্ষেপ হিসেবে এর প্রয়োগ হয়।
বীজ গ্রাম স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষাদানের মাধ্যমে বীজকে রক্ষা করার মন্ত্রে তাদের ব্রতী করেছে আর এই পথে সাশ্রয়ী কৃষিকর্ম সম্পন্ন করতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বাক্ষর রেখেছে।
ভূমিকা:
বীজ কৃষিকার্যের ক্ষেত্রে গঠনমূলক একক ও এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি যা কৃষিকর্মের সফলতার কেন্দ্রবিন্দু। বীজের বিশেষগুণের কদর করতে এই বীজ গ্রাম নির্মিত হয়েছে যা আগামীতে এই বীজকে কেন্দ্র করে যেসব সমস্যার উদ্ভব হতে পারে যেমন উৎপাদন ও বিতরণে দেখা দিতে পারে সেসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিতে পারবে। এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরত্ব আরোপ করে কৃষিকর্মে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ, জীববৈচিত্র্যকে বাঁচানো এবং দীর্ঘমেয়াদী কৃষিকাজের ওপর।
মূল উদ্দেশ্য
বীজ উৎপাদন এবং গুণন:
বীজ গ্রামের মূল লক্ষ্য বীজ উৎপাদন এবং স্থানীয় উচ্চমানের বীজের বৃদ্ধি। এইজন্য স্থানীয় আবহাওয়ায় অভিযোজিত হতে পারে এমন উচ্চমানের বীজের নির্বাচন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে গুরত্ব পায়। কৃষকদের এই উৎপাদনের বিষয়ে উৎসাহিত করে বীজ গ্রামগুলি সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে বীজ সরবরাহ করে চলে।
জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণঃ
বীজ গ্রামের প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য গুলির মধ্যে একটি মূল লক্ষ্য হল উদ্ভিদের উদ্ভবকে সংরক্ষণ করা। বৈচিত্র্যপূর্ণ নানাপ্রকার ফসলের চাষ করে গ্রামের সদস্যরা স্থিতিস্থাপক কৃষি বাস্তুতন্ত্র গঠন করে। তাতে আবহাওয়া পরিবর্তনে, নানা রকম রোগ ও মহামারীর ঝুঁকি প্রশমিত হয়।
ক্ষমতা গঠন ও প্রশিক্ষণ:
বীজ গ্রাম তাদের সদস্যদের দীর্ঘমেয়াদী ও সাশ্রয়ী কৃষিকাজ, বীজের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। এই শিক্ষা কৃষকদের বহিরাগত যোগান ও দক্ষতার ওপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করে আর এভাবেই কৃষকরা নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে কৃষিকাজে ভবিষ্যতে সাবলীল পদক্ষেপে এগোতে পারে।
সদস্যদের অংশগ্রহণ:
বীজ গ্রামের স্বপ্ন ও লক্ষ্য তখনই পূরণ হবে যখন সকল সদস্য একসঙ্গে কাজ করবে। কৃষকেরা নিজেদের মধ্যে কৃষিকাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে, বীজ আদানপ্রদান করে এবং একসাথে কাজ করে সুরক্ষিত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখে। কৃষকদের এই ভূমিকা সমাজের এই কৃষক সম্প্রদায়ের মনে মালিকানাসুলভ গৌরবের অনুভূতি জাগায়।
বাজার সংযোগ:
বীজগ্রাম প্রায়শই আঞ্চলিক বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে যাতে কৃষকরা তাদের ফলনের জন্য প্রয়োজনাতিরিক্ত বীজকে বাইরে বিক্রি করতে পারে। এর মাধ্যমে শুধুই যে কৃষকরা দু পয়সা রোজগার করতে পারে, তা নয়, বরং আর ফলে স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত বীজের ব্যবহার আরও দূর দূরান্তে বিস্তৃত হতে পারে এবং একটা দীর্ঘমেয়াদী ও সাশ্রয়ী কৃষিকাজে বীজগ্রামের অবদানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে ।
সুবিধা ও প্রভাব:
বর্ধিতহারে ফসল ফলন:
আঞ্চলিক স্তরে তৈরি করা বীজ বর্ধিতহারে ফসল ফলনে সাহায্য করে এবং উন্নতমানের কৃষিকাজে ফলন বাড়ায়, খাদ্য নিরাপত্তায় এবং কৃষিসম্প্রদায়ের রোজগারের কথা ভাবতে সাহায্য করে।
বাইরের উৎসের ওপর নির্ভরতার হার কমানো:
বীজগ্রাম, বীজের বাইরের উৎসের ওপর কম নির্ভরশীল হবার সহজ মন্ত্র শিখিয়েছে এই লক্ষ্যে যে দূরবর্তী ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের কৃষক সম্প্রদায় যাতে স্বনির্ভর হয়ে ওঠে।
দেশীয় জ্ঞানের সংরক্ষণ :
কৃষক সম্প্রদায়ের কৃষিকাজে প্রথাগত জ্ঞান কৃষকদের মনে বিশেষভাবে সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং সেই জ্ঞান বংশ পরম্পরায় বাহিত হয়ে চলেছে। এই বীজ গ্রাম তৈরির মধ্য দিয়ে। বীজ গ্রাম এইভাবে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত থেকে এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ঐতিজ্ঝ্য গড়ে তুলেছে।
বিভিন্ন জলবায়ুতে ফলনের সহনশীলতাঃ
বীজগ্রামের নানা ধরনের বীজ বপনের ফলে নানা ধরনের শস্যের চাষ আবাদ হয়ে থাকে। এই বিবিধ ফসল ফলানো বীজগ্রামের সহজসাধ্য হওয়াতে পরিবেশগত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদের ফলনের হার অনুকূল হয়ে ওঠে। যে জলবায়ুতে যে ফসল ফলানো সম্ভব সেই ফসল ফলায় এই বীজ গ্রাম। ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের অসুবিধা ও ঝুঁকিকে তুচ্ছজ্ঞান করে এরা সহনশীলতার সাথে আঞ্চলিক কৃষিকাজ সম্পন্ন করে।
উপসংহার
কৃষির ইতিহাসে “বীজগ্রাম” সম্প্রদায়ভিত্তিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রুপান্তরকামী পদক্ষেপ যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাষবাসকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং তাঁর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৃষিভিত্তিক সমস্যা যেমন- বীজের নিরাপত্তা ও কৃষির সাশ্রয়ী প্রণালী ইত্যাদির সহজ সমাধান কৃষির ইতিহাস বীজগ্রাম সম্প্রদায়ভিত্তিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রুপান্তরকামী পদক্ষেপ যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাষবাসকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং তাঁর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৃষিভিত্তিক সমস্যা যেমন- বীজের নিরাপত্তা ও কৃষির সাশ্রয়ী প্রণালী ইত্যাদির সহজ সমাধান করে। এই উদ্যোগের ওপর ভর করে কৃষিকাজ আগামীর জন্য এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় কৃষিপ্রাণ মানুষদের বিশ্বের দরকারে হাজির করেছে। বীজগ্রামের এই ভাবনা এক দিগন্তকারী কৃষিচেতনাকে পোষণ করে যা ভবিষ্যতে কৃষিকাজে স্বনির্ভরতা নিয়ে আসে এবং এইভাবেই বীজগ্রাম হয়ে ওঠে বিশ্বব্যাপী কৃষি সমস্যার বিরুদ্ধে এক চ্যালেঞ্জ।
গোঁটরা একটি উন্নতিশীল বীজগ্রাম, গোঁটরা এস কে ইউ এস লিঃ এর বিস্ময়।
Copyright © 2024 গোঁটরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লি. Gontra Samabay Krishi Unnayan Samity Ltd. (Gontra SKUS Ltd.) - All Rights Reserved.
Powered by Toppos
We use cookies to analyze website traffic and optimize your website experience. By accepting our use of cookies, your data will be aggregated with all other user data.